Saturday, 13 December 2014



তুমি এসেছিলে 
একমুঠো নীলচে স্বপ্ন নিয়ে 
উদাসী অভিমান , অনেকক্ষণ চেয়ে থাকা 
দৃষ্টিহীন ব্যাধের অপলক একাগ্রতার মত 
তুমি এসেছিলে , নরম নদী হয়ে 
রিমঝিম সুখের পাড়ভাঙ্গা ঢেউ হয়ে
ছায়া নেই সে স্বপ্নশরীরে 
তুমি এসেছিলে 
মন কেমন করা অস্থিরতার জোয়ার হয়ে 
চোখে মুখে আগুনঝরা কৃষ্ণচূড়া নিয়ে 
বেশ করেছ 
এলোমেলো চুলের বাধন খুলে 
ঢলে পড়তে দাও উদাসী গালে 
তুমি এসেছিলে, আনমনা মাতাল বিকেলে
সোনা রোদের হাসি নিয়ে , 
নরম ছোয়ার আবেশ হয়ে 
শরীরের আড়ালে অন্যরকম আর একটা শরীর 
শীত শীত কুয়াশার চাদর এ মোড়া 
এভাবে দেখো না আমায় 
মাঝে মাঝে নিজের ই মনে হয় 
সর্বস্ম লুঠ করে নেওয়া ডাকাত 
ভালবাসার হাহাকারে আজন্ম ভিখারী 
এভাবে ছুয় না আমায় 
কেপে উঠবে নরম ঠোটের ভাঁজ ,উদ্বাস্তু বন্যতায় 
অন্যরকম প্রশ্রয়ে তুমি এসেছিলে 
এক অদ্ভুত দৃঢ়তা নিয়ে , একগুয়ে নদী র মত 
প্রেমিকা না , সাহসিনী  নারী হয়ে। 

©

Som Shuvra

Wednesday, 26 November 2014

প্রথম ছোয়া 


হঠাত করে যখন আমায় ছুলে 
বয়ে গেলো চোরা স্রোত শিরদাড়া বেয়ে 
কেপে উঠলো শরীর, আলগা পাতার মত 
হাওয়াহীন আকাশ জুড়ে  শিহরণের ফানুস 
এ কেমন স্পর্শ ?
এর জন্য কি ছিলাম তবে অপেক্ষায় 
বুকের ভিতর নাম না জানা গোলাপী  কষ্ট 
দমবন্ধ একরাশ ইচ্ছে -বাধনহারা 
এলো চুলের একগুয়ে অবাধ্যতায় 
ঝিম ধরা দুপুরে, সন্ধে নামে তোমার 
শরীরের আনাচে কানাচে 
নীলচে শিরায় মিষ্টি লাল সবুজ ভালবাসা 
এ ভাবে ছুয়ে দিলে আর একটিবার 
হারাবো না কক্ষনো আমি আর।  

Friday, 21 November 2014




সত্যি করে না হলেও, একবার  
ছুয়ে দেখো পরিনত 
উচ্ছৃঙ্খল ইচ্ছেদের উত্সমুল 
কি ভাবে বেড়ে যায় অভিমানের পাল্লা 
ক্রমশ ভালোলাগায় 
সময়ের ক্ষতে প্রলেপ মিশিয়ে 
কি ভাবে অনুভূতিরা গজিয়ে ওঠে 
 অজান্তে , দূরত্বের ব্যবধান তবুও 
মন জোড়া অস্থিরতায় এলোমেলো তুমি 
তুমি তো আসো , নীলচে বাতাস এ ভর করে 
চোখে নেমে আসা এলোচুল বারবার সরাতে সরাতে 
খোপা থেকে খুলে নেওয়া মাঝরাতে , এক বুক শিহরণ 
তুমি তো আসো , খেয়ালী ইচ্ছেডানা মেলে 
একগাল টোল ফেলে , একগুয়ে নদী হয়ে 
অন্তহীন অপেক্ষার নোনা বালিতে 
একমুঠো জোয়ার হয়ে 
নিরবতার গোপন চুপকথা নিঃশ্বাস এ খোঁজে 
মন কেমন করা ভালবাসা 
সত্যি করে না হলেও, একবার  
ভেসে যাও আবেগী ভালবাসায় 
দেখো ,কেমন করে তুমি থেকে
হয়ে যাই আমরা। 


                                            .........স্বপ্ন সোম 



Thursday, 20 November 2014

ভালবাসি, ভালবাসি
__সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়__

ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,রাত জেগে পড়ার
টেবিলে বসে আছ,
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-
ভালবাস? তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত..
খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত
আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু
চাপ দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম শশব্যস্ত
হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,মাথার
উপর
তপ্ত রোদ,বাহন
পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
রোধ করে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার
দিকে তাকিয়ে কাঁধে হাত
দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,এমন
সময়
তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি-
ভালবাস?
তুমি কি বকা দেবে?
নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার
গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল
গলায় বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়েযায়,
মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার
অনুভুতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার
মুখের
দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাস?
তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম
শ্বাস আমার
শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি,
ভালবাসি..
ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,প্রচন্ড
যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,
শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
জিজ্ঞেস করলাম-
ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?
নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস
দেবে,বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ
তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত
বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাস? কটাক্ষ করবে?
নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত
বুলাতে বুলাতে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয়
নেই
বিধাতার দান এই
পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার
বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাস?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি..
ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-
ভালবাস?
চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই
আমাকে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি..
যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,না থাকলেও দূর
থেকে ধ্বনি তুলো
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি..
দূর থেকে শুনব তোমার কন্ঠস্বর,বুঝব
তুমি আছ,তুমি আছ
ভালবাসি, ভালবাসি....
কেউ কথা রাখেনি
—সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর
কাটলো কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমি তার
আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলো
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু
শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভুক
অমবস্যা এসে চলে গেল, কিন্তু সেই
বোষ্টুমি আর এলো না
পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি ।

মামাবাড়ির মাঝি নাদের
আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল
দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর
ভ্রমর খেলা করে !
নাদের আলি, আমি আর কত বড় হবো ? আমার
মাথা এই ঘরের ছাদ
ফুঁরে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর
তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে ?

একটাও রয়্যাল
গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স
দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্কর বাড়ির
ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের
গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি ভেতরে রাস
উৎসব
অবিরল রঙ্গের ধারার মধ্যে সুবর্ণ
কঙ্কণ পড়া ফর্সা রমণীরা কতরকম
আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি !
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন,
দেখিস, একদিন আমরাও.
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের
দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স,
সেই রাস উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না।

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল
রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ
হবে !
ভালবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয়
প্রাণ নিয়েছি
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন
করে খুঁজে এনেছি ১০৮ নীলপদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার
বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে কোন নারী।

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো,
কেউ কথা রাখেনা !

Monday, 17 November 2014

“আমি খুব অল্প কিছু চাই !”
____হুমায়ূন আহমেদ

আমাকে ভালবাসতে হবে না,
ভালবাসি বলতে হবে না.
মাঝে মাঝে গভীর আবেগ
নিয়ে আমার ঠোঁট
দুটো ছুয়ে দিতে হবে না.
কিংবা আমার জন্য রাত
জাগা পাখিও
হতে হবে না.
অন্য সবার মত আমার
সাথে রুটিন মেনে দেখা
করতে হবে না. কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও
খেতে হবে না. এত
অসীম সংখ্যক “না”এর ভিড়ে
শুধু মাত্র একটা কাজ
করতে হবে আমি যখন
প্রতিদিন এক বার “ভালবাসি” বলব
তুমি প্রতিবার
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে একটু
খানি আদর মাখা
গলায় বলবে “পাগলি”
বিশ্বাস কর!

Thursday, 6 November 2014

অদ্ভূত বিস্ময়ে চেয়ে থাকি তোমার তুমিতে 
মন্ত্র মুগ্ধ বালকের মত
আমার যা কিছু না পাওয়া , তার সব জুড়েই তো তুমি 
সকালের এলার্ম , ব্যাস্ততার ফাঁকে , অবুঝ ইচ্ছেতে 
ঘরে ফেরার টানে  
তোমায় আমার করে আগলে রাখা
পেয়ে হারানোর ভয় 
একাকিত্বে আমার আমিতে 
সব জুড়েই তো শুধু  তুমি 
আমার  না বলা মনমরা কথা 
আমার  একলা থাকার সুখ 
আবেগী মায়া , স্বপ্নহীন ঘুম 
আমার গোপন ইচ্ছে , শূন্য আকাশ 
প্রিয় মুখের এক চিলতে হাসি 
আমার যা কিছু না পাওয়া , তার সব জুড়েই তো তুমি
যদি তুমি জানতে আমার বিষন্নতার মানে 
বিষন্নতা জুড়ে আরো  কাছে পাই  তোমায় 
হলদে , সবুজে বা  নীলে  যেমন  খুব মানায়  তোমায় 
একাকিত্বে খুঁজে পাওয়া সেই নীলে 
এক পৃথিবী তুমিময় চিত্রপটে 
অনাবৃত দেহের বিস্ময়ে 
আমার যা কিছু না পাওয়া , তার সব জুড়েই তো শুধু  তুমি


                                                                                ...........স্বপ্ন সোম

Friday, 31 October 2014

কখনো ঝরতে দেখেছো সাজানো স্বপ্ন 
একলা রাত্রির আঙিনায় ?
তারাখসা র মত নিমেষে হারাতে দেখেছ 
শর্তহীন আবেগ ?
ভালোবেসেছ কখনো এমনি করে 
চোখের কোনে তপ্ত জল আর উথালপাথাল অনুভবে ?
দিশাহীন সীমান্তের নরম মনে হাত রেখে দেখেছ কখনো 
চাওয়া পাওয়ার গন্ডির বাইরে, ভালোলাগার অনুশাসনে। 
সরল বিশ্বাস এ প্রাণ নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছ 
কালো পাঁজর এর গোলাপী চূড়ায় ?
ভাবছো কেমন খেয়ালী প্রশ্ন !
তাহলে আবার ভালবাসবে কি ভাবে ?
স্বপ্ন দেখাটাও কি নিতান্তই ছেলেমানুষি 
হয়তোবা তাই 
শোন তবে, এবুকের গভীরে অযুত স্বপ্ন 
মৃতপ্রায় ,মলিন , ভীষণ একাকীত্বে ভুগছে তারা 
আমি তো অপেক্ষায় ছিলাম, কখন আসবে 
বানভাসি জোয়ার , ভাসিয়ে নিয়ে যাবে 
গভীর আশ্লেষে চরম প্রাপ্তির চূড়ায়। 

                                                                               ...........স্বপ্ন সোম




Thursday, 30 October 2014






শিহরিত রাত্রির বিনিদ্র জোছনায় 

একা ঘুরপথে , তোমার খেয়ালী প্রেম 
অভিমানের ডিঙ্গায় বানভাসি 
অথচ দেখো তুমি আসবে বলেই 
আদরের ঘরে খুশির জোয়ার 
রাতজাগা জোনাকি ও  স্বপ্নহারা 
দূরত্বের মনখারাপ চুপিসারে তোমার আচলে 
ব্যথাগুলো ব্যথা নিয়ে  মেঘ হয়ে তোমার চোখে
বৃষ্টি হয়ে ঝরলে আমাদের  ভালবাসার নদীতে  
আমি ভাসাবো স্বপ্ন ডিঙ্গা , দুরন্ত উচ্ছাসে 
একবার ডেকে দেখো আমায় 
ভালবাসার অনটনে আজন্ম কাঙাল 
গভীর মৌনতায় খুজে পাবো তোমার গোপন ভালোবাসা। 
                                                                                   ...........স্বপ্ন সোম

Friday, 26 September 2014

অনেকদিন পর পাওয়া এরকম শরতের সকাল 
আসছে মিঠে রোদ , আসতে দাও 
চুইয়ে পরুক তোমার আচলে 
মনখারাপ এর অবুঝ বিকেলে 
নির্জন হউক অন্ধকার , আরো একটু 
ছুয়ে যাবো এলোমেলো আঙ্গুল 
চোখের স্তবধতায় খুঁজে নেওয়া না বলা কথা 
এলো চুল পড়তে দাও তোমার খেয়ালী ঠোটে 
বহুদিন পর যেন এসেছে এরকম সন্ধে 
অবুঝ আদরের অভিমানে 
আসতে দাও, গাছের শিকড়  বেয়ে পৌছে যাবো 
অতল গভীরে , আরো গভীরে 
খুঁজে নিতে দাও শিশিরভেজা ফুল, সুবাস ছড়ানো সকাল 
ভালোবাসার কলরবে নিজেকে মেলে ধরো তুমি 
চলে এসো , চলে এসো , পেতে দেবো বুক 
স্বপ্ন সাজাবো আর শিউলি ফোটাবো।


                                                                               ...........স্বপ্ন সোম   

Wednesday, 17 September 2014

ব্যবধান 


এক গুচ্ছ  অচেনা মুখ , তার মাঝেই খুজতে থাকি 
সেই চেনা মুখটাকে 
জীবনটা আজ হাওড়া স্টেশন 
ব্যস্ততা, কোলাহল --তবুও 
হৃদয়টা বড় একলা , অভিমানী 
আজ তোকে খুউব কাছে পেতে ইচ্ছে করে 
ব্যবধান বাড়লে নাকি ভালোবাসা বাড়ে 
আমায় বলেছিলি 
তুই কি জানিস ? সত্তিই তাই !
গভীর রাতে দুঃস্বপ্নের ছায়ায় 
আতকে ওঠে বোবা অনুভূতি 
খোঁজে শুধু তোর্ একটু ছোয়া 
ভালোবাসা কি শরীর খোঁজে না খোঁজে 
মনের ভাষা 
তুই কি জানিস ?

আ ন ম না ক বি

Monday, 1 September 2014

" তোমাকে চাই "
____সুমন চট্টোপাধ্যায় 

প্রথমত:, আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত:, আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত:, আমি তোমাকে চাই
শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই

নিঝুম অন্ধকারে তোমাকে চাই
রাতভোর হলে আমি তোমাকে চাই
সকালের কৈশোরে তোমাকে চাই
সন্ধের অবকাশে তোমাকে চাই

বৈশাখী ঝড়ে আমি তোমাকে চাই
আষাঢ়ের মেঘে আমি তোমাকে চাই
শ্রাবণে শ্রাবণে আমি তোমাকে চাই
অকালবোধনে আমি তোমাকে চাই

কবেকার কলকাতা শহরের পথে
পুরোনো নতুন মুখ ঘরে ইমারতে
অগুন্তি মানুষের ক্লান্ত মিছিলে
অচেনা ছুটির ছোঁয়া তুমি এনে দিলে
নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই
এক ফোঁটা শান্তিতে তোমাকে চাই
বহুদূর হেঁটে এসে তোমাকে চাই
এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই

চৌরাস্তার মোড়ে পার্কে দোকানে
শহরে গঞ্জে গ্রামে এখানে ওখানে
স্টেশন টার্মিনাস ঘাটে বন্দরে
অচেনা ড্রয়িংরুমে চেনা অন্দরে
বালিশ তোশক কাঁথা পুরোনো চাদরে
ঠান্ডা শীতের রাতে লেপের আদরে
কড়িকাঠে চৌকাঠে মাদুরে পাপোশে
হাসি রাগ অভিমানে ঝগড়া আপোসে
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই
ডাইনে ও বাঁয়ে আমি তোমাকে চাই
দেখা না দেখায় আমি তোমাকে চাই
না-বলা কথায় আমি তোমাকে চাই

শীর্ষেন্দুর কোন নতুন নভেলে
হঠাত্ পড়তে বসা আবোলতাবোলে
অবোধ্য কবিতায় ঠুংরি খেয়ালে
স্লোগানে স্লোগানে ঢাকা দেয়ালে দেয়ালে

সলিল চৌধুরীর ফেলে আসা গানে
চৌরাশিয়ার বাঁশি মুখরিত প্রাণে
ভুলে যাওয়া হিমাংশু দত্তর সুরে
কোন্ কবেকার অনুরোধের আসরে
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
অনুরোধে মিনতিতে তোমাকে চাই
বেদনার আর্তিতে তোমাকে চাই
দাবীদাওয়া চাহিদায় তোমাকে চাই
লজ্জাদ্বিধায় আমি তোমাকে চাই
অধিকার বুঝে নেওয়া প্রখর দাবীতে
সারারাত জেগে আঁকা লড়াকু ছবিতে
ছিপছিপে কবিতার ছন্দে ভাষায়
গদ্যের যুক্তিতে বাঁচার আশায়
শ্রেণীহীন সমাজের চির বাসনায়
দিনবদলের খিদে ভরা চেতনায়
দ্বিধাদ্বন্দের দিন ঘোচার স্বপ্নে
সাম্যবাদের গান ঘুমে জাগরণে
বিক্ষোভে বিপ্লবে তোমাকে চাই
ভীষণ অসম্ভবে তোমাকে চাই
শান্তি অশান্তিতে তোমাকে চাই
এই বিভ্রান্তিতে তোমাকে চাই ।

Sunday, 31 August 2014

প্রথম অদ্বিতিয়া, চলে এসো
কঠিন এই অসময়ে
নোনা হাওয়ায় ভাসিয়ে দাও তপ্ত জল
রুমালের আড়ালে সব পেয়েছির ব্যথা
অশরীরি মায়ায় ফিরে পাওয়া শারীরিক সম্ভোগ
মাঝরাত কাটে বিনিদ্র
অপরিচিতা, তোমার আগুন ছোয়ায়
এলোমেলো হৃদ স্পন্দন
নরম ঠোটের ইশারায় খুঁজে নেওয়া অন্য জীবন
ডুবে যাওয়া শেষ ট্রেন এর হুইসেলে
রাত্রি নামে এলো চুলে
ফুল ফোটার আগেই সুগন্ধি সন্ধ্যার মরশুমে
অচেনা তুমি
অপরিচিতা চলে এসো একমুঠো রাত্রি নিয়ে
এলো চুল , হিমেল হাওয়ায়
যেখানে ঠোটের মন আলগা ভাষা।

আ ন ম না ক বি

Friday, 29 August 2014

একবার তুমি 
শক্তি চট্টোপাধ্যায়

একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা কর –
দেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভাল বাসতে চেষ্টা কর |

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল - ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে
যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার, যেন ঢেউ, যেন কুমোরটুলির সলমা-চুমকি-জরি-মাখা প্রতিমা
বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটে নক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি |

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই - পাথরের ফাঁক-ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল -
অনেক সময় তো ঘর গড়তেও মন চায় |

মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে
আমাদের সবই দরকার | আমরা ঘরবাড়ি গড়বো - সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো |

রূপোলি মাছ পাথর ঝরাতে ঝরাতে চলে গেলে
একবার তুমি ভালবাসতে চেষ্টা করো |
একটু আড়াল 
ভালোলাগার উত্তাপ 
বাক্সবন্দী শীতঘুম 
মন কেমনের স্টেশন 
গোপন ইচ্ছে 
অজানা নিরুদ্দেশ 
রংধনু  গোলাপ 
ফিরতি  অবকাশ 
পিছুটান 
মুঠোভর্তি সুখি  সময় 
মন কেমন করা ভালবাসা 
                                 রেখেছি শুধু 
                                                   তোমার জন্য। 

আ ন ম না ক বি

Wednesday, 27 August 2014



ব্যাস্ততার মাঝেই দিব্বি ছিলো আমাদের বন্ধুত্ব 
একটু অন্যরকম 
দাম্পত্য জীবনের বাইরেও-- 
তোমার চল্লিশ ,আমার তিরিশ 
ঠিক ভালোবাসা নয় 
একটু অন্যরকম ভাবে কাছে পাওয়া 
সেদিন ,যখন হটাথ কাঁদলে 
বুকে মাথা রেখে 
প্রত্যয়ী চোখে দেখেছিলাম আলাদা উষ্ণতা 
বিশ্বাস এর মুষ্টিবদ্ধ ওর হাতদুটো সরাতেই দেখলাম 
জামাটা ভাজ হয়ে গেছে 
অনেকবার চেষ্টা করেছি মসৃন করার 
আজও হয় নি। 

আ ন ম না ক বি


আলগা আদরে অবুঝ অভিমান 
ফিরে চল নষ্ট নীড়ে 
এক মুহুর্ত হবে অন্তহীন 
সুখের পাখি কাতরাক যন্ত্রনায় 
শুধু তুই আর আমি 
নীলচে অভিসারে। 

আ ন ম না ক বি

Tuesday, 26 August 2014





ব্যাস্ততার মাঝে একটু ভালোবাসা

দুষ্টুমি আলগোছে ,

অচেনা ফাগুন দিচ্ছে উকি আবডালে

তোমায় পাব বলে, পড়ন্ত বিকেলে

আদর এর ঘরে খুশির জোয়ার

অন্তহীন অপেক্ষা গোধূলির আলোডানা রোদ এ

ফিরবে হলুদপাখি কখন কে জানে!

ভালবাসার ছোট্ট নীড়ে।




আ ন ম না ক বি

Wednesday, 13 August 2014

একরোখা প্রেম বদ্ধ ঘরে 
আচ্ছন্ন ভালবাসায় কেমন যেন আছি 
একদম ভালো নেই নেই 
চৌকাঠ পেরিয়ে তোমার তোমার সাথে একলা হয়ে 
ছবি আকবো বৃষ্টির -নিরবে 
জ্যোত্স্না মাখা শাড়ির আচলে, জড়িয়ে ধরবো আবার 
ছুয়ে  দেখো তোমার ভালবাসা , নতুন করে 
অন্ধকারে একা একা ---
ঝরে পড়া কৃষ্ণচুড়ার অভিমানে 
আবার আগুন লাগবে 
শেষ ফাগুনের আলোতে 
অগোছালো ইচ্ছেদের আনাগোনা 
আমার  করে ভাবি আজও তোমায় 
ঘুরে দাড়াবো আবার 
এতদিন পর 


আ ন ম না ক বি


ফি রে  এসো একটি বার                                
আগুন তাপ                  
                   গনগনে ছাই 
                                   ধূসর বিকেল 
                                                  অজানা মনখারাপ 
                                                                         অনুভূতির মিছিল 
                                   প্রিয়ভাসিনি ,ফিরে এসো 
                                                                        আর একটি বার                                                                 

Monday, 2 June 2014



Fire dekha obelay
 godhulir buke veja ushnota
samorker porijayi britte bhag hoy thot, 
ek akash buk akre onnorokom premika
bhalobasa o nilam e othe sasta majhrate..
sediner Droupodi rup bodlay chora srote
sarir er chena britto chere, onischoyotar andhare bhag kore neoa bichana
mukh firiye manobik bodh hase baka hasi
ushnotar khoje lampot premika thot joray porpurush er sathe
 bhanga chora mon niye bose thake ochol premik
 sarir r moner dondo sekhaneo
khule jay bhalobasar urdi
 etota hete asa poth anmone...hotath sommukhin prosnochinher(?)

                                                                                                         আ ন ম না ক বি
 

Copyright 2010 Bangla Kobita.

Theme by WordpressCenter.com.
Blogger Template by Beta Templates.