প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই
Friday 28 May 2021
গৃহত্যাগী হবার মত জ্যোৎস্না কি উঠেছে ?
বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়।
যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে-
ও মাগো, কি সুন্দর চাঁদ !
নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়।
যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন-
দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর !
কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জ্যোৎস্না নয়।
যে জ্যোৎস্না বাসি স্মৃতিপূর্ন ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্না দেখে কবি বলবেন-
কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ !
আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার জন্য বসে আছি।
যে জ্যোৎস্না দেখামাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে-
ঘরের ভেতরে ঢুকে পরবে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-
পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়।
নন্দিনী –
যতক্ষন পাশে থাকো, যতক্ষন ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি
আমি যেন মেঘে জলে মেশা কোনো আত্মহারা পাখি।
বলতো কি পাখি?
শুভঙ্কর –
যতক্ষন পাশে থাকো, যতক্ষন ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা
উল্কার স্ফুলিঙ্গ দিয়ে অন্ধকারে দীর্ঘ ছবি আঁকা।
বলতো কি ছবি?
নন্দিনী –
যতক্ষন কথা বলো, হাসো ও ঝরাও ধারাজল
বীজ থেকে জেগে ওঠে অফুরন্ত গাছ, বনতল।
বলতো কি গাছ?
শুভঙ্কর –
যতক্ষন পাশে থাকো ভূমিকম্প, সুখের সন্ত্রাস
পৌঁছে যাই সেখানে, যেখানে বসন্ত বারোমাস।
বলতো কি দেশ?
– পূর্ণেন্দু পত্রী
তুমিই আমার ধ্বংস হবে তা জানলে
এমন করে কি ভাসাতাম ডিঙি নৌকো?
ভাসাতাম?
তুমি চলে যাবে সমুদ্রে আগে বলনি
তাহলে কি গায়ে মাখাতাম ঝড়-ঝঞ্ঝা?
মাখাতাম?
নুড়িতে-পাথরে নূপুর বাজিয়ে ছোট্ট
জলরেখা ছিলে দুই হাত দিয়ে ধরেছি।
ধরা দিয়েছ।
এখন দুকুল ভরেছে প্রবাহে প্লাবনে
উঁচু মাস্তুলে জাহাজ এসেছে ডাকতে।
ওকে সাড়া দাও।।
– পূর্ণেন্দু পত্রী
ওটা কিছু নয়
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?
একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?
তেমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার । ওটা নয়, ওটা চুল ।
এই হলো আমার আঙ্গুল, এইবার স্পর্শ করো,–না, না, না,
-ওটা নয়, ওটা কন্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী এক শিল্পীর
মাটির ভাস্কর্য, ওটা অগ্নি নয়, অই আমি–আমার যৌবন ।
সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ–প্রেমিক,
ওখানে কী খোঁজ তুমি ? ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ ;
রমণীর ভালোবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন বুকে নিয়ে ওটা নদী,
নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে,–এর ঠিক ডানপাশে , অইখানে
হাত দাও, হ্যাঁ, ওটা বুক, অইখানে হাতা রাখো, ওটাই হৃদয় ।
অইখানে থাকে প্রেম, থাকে স্মৃতি, থাকে সুখ, প্রেমের সিম্পনি ;
অই বুকে প্রেম ছিল, স্মৃতি ছিল, সব ছিল তুমিই থাকো নি ।
– নির্মলেন্দু গুণ
হলুদপাখি
উড়তে চাওয়ার একলা ইচ্ছে
ডানা মেলে স্বপ্ন দেখা
মেঘ রঙা মনের আকাশে রাতভর
তখন- তোর অবাধ বিচরণ
লজ্জাবতী লতার মতো ছুঁতে যাওয়ার আগেই
গুটিয়ে যেতিস কেমন,
কেমন যেন একটা দ্বিধা বোধ
নিষিদ্ধ বেড়াজাল
নগ্নতার মধ্যেও লুকোনো থাকে ভালোবাসা
বুঝতে চাইতিস না তুই;
জানিস, আমিও ছিলাম বড়ো অবুঝ
একগুঁয়ে দস্যুর মতন
রক্তের জ্বালা, উদগ্র বাসনায়
বেঁধে রাখতে চেয়েছিলাম নামহীন সম্পর্কে
আশ্বিনের ঢল বয়সের হিসাবে|
©
Som ShuvraThursday 29 March 2018
রাজনীতির অন্ধ গলি
পোড়া বারুদের গন্ধ
জ্বলছে ঘর, জ্বলছে মানুষ
জ্বলছে মানবিকতা
দাঙ্গা বিধস্ত মহল্লায়
নিগৃহীত সাংবাদিক
বাদ যায় নি ফুটফুটে কোলের শিশু
পোস্ট মডার্নিজম এর জোয়ারে
চুপ গণতন্ত্র
বিপন্ন লঙ্কেশ গৌরির কলম
চুপ থাকাটাই শ্রেয়
নইলে মরতে হবে ডাম্পার এর তলায়
গুলিতে ঝাঁজরা হবে প্রতিবাদী অস্তিত্ব
দুর্নীতি রক্তে নিয়ে বেঁচে থাকতে না চাইলে
নির্বাসনে যাও
কিনতু চুপ,
গণতন্ত্র চলছে যে ......
পোড়া বারুদের গন্ধ
জ্বলছে ঘর, জ্বলছে মানুষ
জ্বলছে মানবিকতা
দাঙ্গা বিধস্ত মহল্লায়
নিগৃহীত সাংবাদিক
বাদ যায় নি ফুটফুটে কোলের শিশু
পোস্ট মডার্নিজম এর জোয়ারে
চুপ গণতন্ত্র
বিপন্ন লঙ্কেশ গৌরির কলম
চুপ থাকাটাই শ্রেয়
নইলে মরতে হবে ডাম্পার এর তলায়
গুলিতে ঝাঁজরা হবে প্রতিবাদী অস্তিত্ব
দুর্নীতি রক্তে নিয়ে বেঁচে থাকতে না চাইলে
নির্বাসনে যাও
কিনতু চুপ,
গণতন্ত্র চলছে যে ......
©
Som ShuvraThursday 20 July 2017
হঠাৎ এ ভাবে ...
হয়তো বা হঠাৎ করেই
চোখ পরে যায় নির্লিপ্ত পায়ের
মখমল আবরণে
হয়তো বা হঠাৎ ভালো লেগে যায়
পুষ্ট চোখের নরম চাউনি
অন্তর্বাসের আভাস
হঠাৎ করেই লিখে ফেলা দু একটা পঙতি
জানি সেটা কবিতা নয়
পাঠকের মন চুরি করা দস্যু
গভীর আবেশে চুরি করা অনুভূতি
দস্যু হতে কখনো চায়নি
হতে চেয়েছিলাম জ্যোৎস্না মাখা প্রেমিক
উত্তাপহীন। ..........
©
Som Shuvra
Subscribe to:
Posts (Atom)