Saturday 29 September 2012

                                              নিঃসঙ্গ


Add caption



পরিচিত কিছু মুখ
বাধানো ফ্রেমে এলোমেলো
জীবনের ব্যস্ত স্টেশনে অভিমানী হৃদয়
বিষাদ ছুয়ে একলা বিষন্নতা
অগভীর ইচ্ছের বাধ দিয়ে গুনে যাওয়া ঢেউ
জ্যোৎস্না ভেজা শাড়ির আচল, দুপুরের আনমনা গান
আর বিকেলের খেয়ালী কৃষ্ণচূড়া
পিছু ডেকো না, অবকাশ নেই একলা ভিড়ে
তেমন করে হারানো চিবুক ছুয়ে
শরীর চাইলে আরও বেশি
নরম বুক ছুয়ে, আরও চাইলে
উষ্ণ বিভাজিকা |

Friday 28 September 2012



তুমি আশ্চর্য ভাবে তাকালে জটিল হয়
জীবনের সম্পর্ক
অলৌকিক স্তব্ধতায় অনন্তের আলোছায়ায়
খুঁজে ফিরি পথ--
এই বুঝি মুখ ফেরানো
শব্দগুচ্ছ মায়াবী পাতার মতন
ভুলতে চেয়েছি বারবার
অথচ দেখো কি ভাবে বদলে যাচ্ছে
জীবনের রঙ!!

                
                  ---by-----SOMSHUVRA

Tuesday 25 September 2012

Saturday 22 September 2012

Friday 21 September 2012

শোনা গেল লাশকাটা ঘরে 
নিয়ে গেছে তারে; 
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আধাঁরে 

যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ 
মরিবার হল তার সাধ। বধূ শুয়ে ছিল পাশে - শিশুটিও ছিল; 
প্রেম ছিল,আশা ছিল-জোৎসনায়,-তবে সে দেখিল 
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার? 
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার। 
এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি! 

রক্তফেনা-মাখা মুখে মড়কের ইদুঁরের মত ঘাড় গুজি 
আধার ঘুজির বুকে ঘুমায় এবার; 
কোনোদিন জাগিবেনা আর। 

কোনোদিন জাগিবেনা আর। 
জাগিবার গাঢ় বেদনার 
অবিরাম - অবিরাম ভার 
সহিবেনা আর - 
এই কথা বলেছিলো তারে 
চাঁদডুবে চ’লে গেলে - অদ্ভুদ আঁধারে 
যেন তার জানালার ধারে 
উটের গ্রীবার মতো কোন এক নিস্তব্ধতা এসে। 

তবুও পেঁচা জাগে; 
গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে। 
আরেকটি প্রভাতের ইশারায় - অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে 
টের পাই যুথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে 
চারদিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা 
মশা তার অন্ধকার সংগ্রামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালোবাসে 

রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রোদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি; 
সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কতো দেখিয়াছি। 
ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন - যেন কোন বির্কীন জীবন 
অধিকার ক’রে আছে ইহাদের মন; 
চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বথের কাছে 
একগাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা - একা, 
যে জীবন ফড়িঙের,দোয়েলের-মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা 
এই জেনে। 

অশ্বথের শাখা 
করেনি কি প্রতিবাদ ? জোনাকির ভিড় এসে 
সোনালী ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে 
করেনি কি মাখামাখি? 
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা এসে 
বলেনি কি; ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে 
চমৎকার ! 
ধরা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার!’ 
জানায়নি পেঁচা এসে এ-তুমুল গাড় সমাচার ? 

জীবনের এই স্বাদ-সুপক্ক যবের ঘ্রান হেমন্তের বিকেলের- 
তোমার অসহ্য বোধ হ’লো; 
মর্গে কি হৃদয় জুড়ালো 
মর্গে - গুমোটে- 
থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো রক্তমাখা ঠোঁটে। 
শোনো 
তবু এ মৃতের গল্প; কোনো 
নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই; 
বিবাহিত জীবনের সাধ 
কোথাও রাখেনি কোন খাদ, 
সময়ের উদ্বর্তনে উঠে এসে বধু 
মধু-আর মননের মধু 
দিয়েছে জানিতে; 
হাড়হাবাতের গ্লানি বেদনার শীতে 
এ-জীবন কোনদিন কেঁপে ওঠে নাই; 
তাই 
লাশকাটা ঘরে 
চিৎ হ'য়ে শুয়ে আছে টেবিলের পরে। 

জানি - তবু জানি 
নারীর হৃদয়-প্রেম-শিশু-গৃহ-নয় সবখানি; 
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয় - 
আর এক বিপন্ন বিষ্ময় 
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে 
খেলা করে; 
আমাদের ক্লান্ত করে, 
ক্লান্ত - ক্লান্ত করে; 
লাশকাটা ঘরে 
সেই ক্লান্তি নাই; 
তাই 
লাশকাটা ঘরে 
চিৎ হ'য়ে শুয়ে আছে টেবিলের পরে। 

তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি,আহা, 
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে, 
চোখ পাল্টায়ে কয়: ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে ?’ 
চমৎকার ! 
ধরা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার- 

হে প্রগাঢ় পিতামহী,আজো চমৎকার ? 
আমিও তোমার মতো বুড়ো হবো-বুড়ি চাঁদটারে আমি 
ক’রে দিবো কালীদহে বেনোজলে পার; 
আমরা দুজনে মিলে শূন্য ক’রে চ’লে যাবো জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে, 
নীরবে বসিয়া কোন্ কথা যেন কহিতেছে কানে কানে | 
মধ্যে অথই শুনো মাঠখানি ফাটলে ফাটলে ফাটি, 
ফাগুনের রোদে শুকাইছে যেন কি ব্যথারে মূক মাটি! 
নিঠুর চাষীরা বুক হতে তার ধানের বসনখানি, 
কোন্ সে বিরল পল্লীর ঘরে নিয়ে গেছে হায় টানি ! 

বাতাসের পায়ে বাজেনা আজিকে ঝল মল মল গান, 
মাঠের ধূলায় পাক খেয়ে পড়ে কত যেন হয় ম্লান! 
সোনার সীতারে হরেছে রাবণ, পল্লীর পথ পরে, 
মুঠি মুঠি ধানে গহনা তাহার পড়িয়াছে বুঝি ঝরে! 
মাঠে মাঠে কাঁদে কলমীর লতা, কাঁদে মটরের ফুল, 
এই একা মাঠে কি করিয়া তারা রাখিবেগো জাতি-কুল | 
লাঙল আজিকে হয়েছে পাগল, কঠিন মাটিরে চিরে, 
বুকখানি তার নাড়িয়া নাড়িয়া ঢেলারে ভাঙিবে শিরে | 
তবু এই-গাঁও রহিয়াছে চেয়ে, ওই-গাঁওটির পানে, 
কতদিন তারা এমনি কাটাবে কেবা তাহা আজ জানে | 
মধ্যে লুটায় দিগন্ত-জোড়া নক্সী-কাঁথার মাঠ ; 
সারা বুক ভরি কি কথা সে লিখি, নীরবে করিছে পাঠ! 
এমন নাম ত শুনিনি মাঠের? যদি লাগে কারো ধাঁধাঁ, 
যারে তারে তুমি শুধাইয়া নিও, নাই কোন এর বাঁধা | 

সকলেই জানে সেই কোন্ কালে রূপা বলে এক চাষী, 
ওই গাঁর এক মেয়ের প্রেমেতে গলায় পড়িল ফাঁসি | 
বিয়েও তাদের হয়েছিল ভাই, কিন্তু কপাল-লেখা, 
খন্ডাবে কেবা? দারুণ দুঃখ ভালে এঁকে গেল রেখা | 
রূপা একদিন ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে গেল দূর দেশে, 
তারি আশা-পথে চাহিয়া চাহিয়া বউটি মরিল শেষে | 
মরিবার কালে বলে গিয়েছিল --- তাহার নক্সী-কাঁথা, 
কবরের গায়ে মেলে দেয় যেন বিরহিণী তার মাতা! 

বহুদিন পরে গাঁয়ের লোকেরা গভীর রাতের কালে, 
শুনিল কে যেন বাজাইছে বাঁশী বেদনার তালে তালে | 
প্রভাতে সকলে দেখিল আসিয়া সেই কবরের গায়, 
রোগ পাণ্ডডুর একটি বিদেশী মরিয়া রয়েছে হায়! 
শিয়রের কাছে পড়ে আছে তার কখানা রঙীন শাড়ী, 
রাঙা মেঘ বেয়ে দিবসের রবি যেন চলে গেছে বাড়ি! 

সারা গায় তার জড়ায়ে রয়েছে সেই নক্সী-কাঁথা,--- 
আজও গাঁর লোকে বাঁশী বাজাইয়া গায় এ করুণ গাথা | 

কেহ কেহ নাকি গভীর রাত্রে দেখেছে মাঠের পরে,--- 
মহা-শূণ্যেতে উড়িয়াছে কেবা নক্সী-কাথাটি ধরে ; 
হাতে তার সেই বাঁশের বাঁশীটি বাজায় করুণ সুরে, 
তারি ঢেউ লাগি এ-গাঁও ও-গাঁও গহন ব্যথায় ঝুরে | 
সেই হতে গাঁর নামটি হয়েছে নক্সী-কাঁথার মাঠ, 
ছেলে বুড়ো গাঁর সকলেই জানে ইহার করুণ পাঠ |





Some links of bengali story books:

 

http://www.banglapapers.com/books.htm

 http://freebanglapdfdownload.blogspot.in/

http://www.deshiboi.com/home.php

 http://www.allbanglabooks.com/ 

 http://www.4shared.net/free+bangla+book+pdf

http://www.banglaebookdownload.com/

http://banglapdfboi.com/

http://www.ebooksdunia.com/


 

Copyright 2010 Bangla Kobita.

Theme by WordpressCenter.com.
Blogger Template by Beta Templates.